কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুরে কলেজ ছাত্র রাজু আহমদ (২০) ওপর হামলার প্রতিবাদ ও আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সভা করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। হাজীপুর ইউনিয়নের পীরেরবাজারে ১৬ই মে বিকেল সাড়ে ৫ টায় শতাধিক লোকের অংশগ্রহণে উক্ত কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয়রা। তারা ন্যাক্কারজনক এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাজারে একটি বিক্ষোভ মিছিলও করেন।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে বিলেরপাড় গ্রামের সুফিয়ান মিয়া ও সুলতান আহমদ পাখি গংরা ৩০ মার্চ রাজুকে রাস্তা থেকে তুলে তাদের বাড়িতে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিক নির্যাতন চালায়। তারা রাজুর হাত, পাঁ ভেঙ্গে দেয় ও বেধড়ক হাতুড়ি পিটুনি দিয়ে শরীরের নানা অঙ্গে মারাত্মক জখম করে। রাজুর মা পরিজা বেগম ৯৯৯ এ কল দিয়ে সহযোগিতা চাইলে ওই রাতে পুলিশ রাজুকে উদ্ধার করে। কিন্তুু ঘটনার দেড় মাস অতিবাহিত হলেও কোন হামলাকারীরা ধরা পড়েনি। আমরা এই সব সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
এসময় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় বাসিন্দা আতিক হোসেন, আবুল কালাম, তারেক আহমদ, আক্তার আলী, মো. লিজু মিয়া, জোলমাত আলী, ইলিয়াছ মিয়া, মনসুর মিয়া, হায়দার মিয়া, ইসলাম মিয়া, বাবুল মিয়া প্রমুখ।
প্রসঙ্গত আত্নীয়তার সূত্রধরেই ধরেই সুলতান আহমদ পাখির মেয়ের সাথে পরিচয় থেকে প্রেম হয় রাজুর। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোকে কেন্দ্র করে উভয় পরিবারে মনোমানিল্য দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বসে মেয়ের সাথে যোগাযোগ না রাখতে ছেলেকে বারণ করা হয়। কিন্তু আকস্মিকভাবে রাজুকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে পাশবিক নির্যাতনের বিষয়টি জনমনে ক্ষোভ ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
এ বিষয়ে অসহায় রাজুর মা পরিজা বেগম ৬ই এপ্রিল মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫নং আমল আদালতে নির্যাতনকারী বিলেরপাড় গ্রামের সুলতান আহমদ পাখি, সুফিয়ান মিয়া, সুরমান মিয়া, বালিয়াটিলার আবুল মিয়া, কমলগঞ্জের জুগিবিলের হারুন মিয়াকে আসামি করে মামলা করেন। আদালত বিষয়টি মামলা আকারে রাজু করে ৪ই জুনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।